ইউনূসের সঙ্গে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মেটাতে চান হাসিনার বোনঝি! দেখা করতে চেয়ে পাঠালেন চিঠি

 মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চান শেখ হাসিনার বোনঝি! দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে নিজেদের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে ফেলতে চান তিনি। এই মর্মে ইউনূসকে চিঠিও পাঠিয়েছেন হাসিনার বোনঝি।



‎‎(বাঁ দিকে) মুহাম্মদ ইউনূস এবং টিউলিপ সিদ্দিক (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।



‎বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চান শেখ হাসিনার বোনঝি টিউলিপ সিদ্দিক! নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে নিতে চান টিউলিপ। সেই কারণে ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। সোমবার ব্রিটেন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে ইউনূসের। ওই সময়েই লন্ডনে তাঁর সঙ্গে দেখা করে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে নিতে চান হাসিনার বোনঝি।

‎যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, তারা এমন কোনও চিঠি পায়নি। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ এই চিঠির বিষয়ে ইউনূসের প্রেসসচিব শফিকুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, গত ৫ জুন থেকে তাঁরা ছুটিতে রয়েছেন এবং টিউলিপের কোনও চিঠি তাঁরা পাননি।

‎টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেত্রী। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের নির্বাচনে চার বার জয়ী হয়েছেন তিনি। ব্রিটেনে সিটি মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজ়ারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার)-ও ছিলেন। তবে হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন টিউলিপ বিভিন্ন নীতি-বহির্ভূত সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ। তবে এই বিতর্কের আবহে গত জানুয়ারিতে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

‎ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশি আবাসন ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালিফের কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট নিয়েছেন হাসিনার ভাইঝি। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। শেখ রেহানা এবং তাঁর কন্যা টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ৭,২০০ বর্গফুট জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। যদিও টিউলিপের আইনজীবীদের বক্তব্য, ওই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত এবং কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।

‎‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ইউনূসকে পাঠানো চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, “আমি ব্রিটিশ নাগরিক। লন্ডনে জন্মেছি। এক দশক ধরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি। বাংলাদেশে আমার কোনও সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। বাংলাদেশের প্রতি আমার হৃদয়ের টান রয়েছে। তবে আমার জন্ম, বসবাস বা পেশাগত জীবনের সঙ্গে ওই দেশের কোনও যোগ নেই।” চিঠিতে টিউলিপের আরও দাবি, তিনি বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লন্ডনে তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও আগ্রহ দেখায়নি বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন।

Comments

Popular posts from this blog

Two Major Energy Facilities in Tehran Hit in Israeli Strikes ‎Across Iran’s capital, flames and smoke covered the sky.

Is World War 3 Coming?

Trump Demands Iran’s Unconditional Surrender: A New Chapter in Middle East Crisis